🎉 You’re invited to save 10% by Use promo code ‘WELCOME10’ at checkout 🎉

চামড়া শিল্পের ইতিহাস – পর্ব ১

চামড়া শিল্প মানেই একটি শত শত বছরের যাত্রা…

চামড়ার ব্যবহার কোনো আধুনিক আবিষ্কার নয়। এটি মানব সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন ও প্রয়োজনীয় আবিষ্কারগুলোর একটি। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে মিসর, চীন, ও ভারতীয় উপমহাদেশে চামড়ার ব্যবহার ছিল বেশ প্রচলিত। মানুষ সেই সময় প্রাণীর চামড়া শুকিয়ে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করত—খাবার বহন করা, শরীর ঢেকে রাখা, এমনকি ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবেও।

ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাচীন ব্যাবিলন ও মিসরে চামড়ার তৈরি বস্ত্র, জুতা, ঢাল ইত্যাদি ব্যবহার হতো। চীন এবং রোমান সাম্রাজ্যে চামড়ার তৈরি সামগ্রী ছিল অভিজাতদের পছন্দের তালিকায়। আর ভারতীয় উপমহাদেশে, বৈদিক যুগেও চামড়ার তৈরি আসন, মোড়া ও অন্যান্য পণ্য ব্যবহৃত হতো।

চামড়ার জুতা যেভাবে ফ্যাশনের সাথে যুক্ত হলোঃ

প্রথমদিকে চামড়া ছিল শুধুই প্রয়োজন মেটানোর উপকরণ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এটি হয়ে ওঠে স্টাইল, শ্রেণি ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। প্রাচীন মিশরীয় ও গ্রিক সভ্যতায় দেখা যায় নকশাকৃত চামড়ার জুতা—যা শুধু আরামদায়ক ছিল না, বরং ব্যক্তিত্বের পরিচায়কও ছিল।

বিশেষ করে রোমান সেনারা যে চামড়ার স্যান্ডেল ব্যবহার করতেন, তা আজকের অনেক আধুনিক জুতার ডিজাইনের ভিত্তি।

বাণিজ্যিকভাবে চামড়ার প্রসার এবং কারিগরঃ

চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ (ট্যানিং) ছিল একটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি। তবে মধ্যযুগে ইউরোপ এবং এশিয়ায় এর উন্নত টেকনিক তৈরি হয়। ভারত, পারস্য এবং চীনে তৈরি ‘মোরোক্কো লেদার’ তখন ছিল বিশ্ববিখ্যাত।

এ সময় চামড়া শুধুমাত্র আত্মনির্ভরতার উপকরণ ছিল না, বরং এটি হয়ে ওঠে একটি লাভজনক শিল্প। বংশ পরম্পরায় দক্ষ কারিগররা তৈরি করতেন চামড়ার জুতা, ওয়ালেট, বেল্ট, ব্যাগ—যা রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত পৌঁছে যেত।


আমাদের ব্লগটি পরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! স্টাইলজেন-এ আপনাকে স্বাগতম! শুধুমাত্র আপনার জন্য স্টাইলজেন আপনাকে দিচ্ছে ১০% ডিস্কাউন্ট এর একটি ওয়েলকাম কুপন। কুপনটি হলো ‘WELCOME10‘ এই কুপনটি ইউজ করে স্টাইলজেন এর যেকোন পণ্য কিনতে পারবেন সাথে ১০% চেকআউট ডিস্কাউন্ট পাবেন।

Share the Post:

Related Posts

বাংলাদেশে চামড়া শিল্পের শুরু ও সংগ্রাম – পর্ব ২

বাংলাদেশে চামড়া শিল্পের ইতিহাস শুধুই ব্যবসা নয়—এটি একটি সংগ্রামের, স্থায়ীত্বের এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার গল্প। পূর্ব বাংলার কারিগর থেকে

Read More